টাইমস নারায়ণগঞ্জ: রাত পোহালেই নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। শেষ দিনে এ নির্বাচনকে ঘিরে আদালতপাড়ায় উত্তেজনার কমতি ছিলো না। আলোচনায় উঠে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিচার-বিশ্লেষণ। বিগত দিনের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে হিসেব কষছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তবে সাধারণ আইনজীবীদের মতে, কোন্দল, বিভেদ এবং তেমন ভাবে দলীয় নেতাদের উপস্থিতি না থাকার কারণে এবারও বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে। ‘বলিরপাঠা’ হতে পারেন বিএনপি সর্মথিত আইনজীবিরা।
কারণ হিসাবে সাধারণ আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপি সর্মথিত আইনজীবিদের মধ্যে শুধু কোন্দলই নয়, রয়েছে ব্যক্তিকেন্দ্রীক উপদলও। বিগত নির্বাচনেও তারা এসব বিভেদ-কোন্দল ঘুচাতে পারেনি। এবারও তাদের মধ্যে তেমন ঐক্যের দেখা মিলছে না। ফলে এবারও আওয়ামীলীগ সমর্থিত আইনজীবীদের হাতেই যাচ্ছে সমিতির নেতৃত্ব। যদিও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতোই সমিতির নির্বাচন হবে। যার কারনে বিএনপি আইনজীবীদের অনেকটা কেয়ারলেস প্রচারণা করতে দেখা যায়।
গত নির্বাচনের আগে সাংসদ একেএম শামীম ওসমান ঘোষণা দিয়েছিলেন পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ থেকে হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও মোহাম্মদ মহসিন মিয়ার প্যানেল গঠন করা হবে। এবং সেই বক্তব্য অনুযায়ী আওয়ামীলীগের প্যানেল গঠন করা হয়। এবং আওয়ামীলীগের আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ন বেশ কয়েকটি পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পর আইনজীবীদের জন্য একটি সুবিশাল বার ভবন নির্মানের উদ্যোগও নেন এবং তার কাজ পর্যায়েক্রমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সদা হাস্যজ্জোল সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসীন মিয়া।
এ দিকে প্রচার প্রচারণায় খোদ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান সহ আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গনে হাজির হলেও বিএনপির পক্ষে তেমন কাউকে দেখা যায়নি। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা এড. তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শাখওয়াত হোসেন খান ছাড়া বিএনপির হেভিওয়েট কোন প্রার্থীকে আদালত আঙ্গন দেখা না যাওয়ার কারনে অনেকটাই হতাশ বিএনপি পন্থী প্রার্থী এবং আইনজীবীরা। সাধারণ আইনজীবীদের মতে, আওয়ামীলীগের ঐক্যের কারনেই এবারও সমিতির হাল ধরবেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্যানেল জুয়েল মহসীন।